সৌম্যের ফিরে আসার দিনে বাংলাদেশের জয়
![]() |
তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার |
দূর্দান্ত বোলিং তারপর যুতসই ব্যাটিং, সবমিলেই যেন দেখার মত একটি ম্যাচ। অভিনন্দন বাংলাদেশ। টিম টাইগার আরেকবার গর্জে উঠল। জানান দিল, বিশ্বকাপ আসছে। আমরা হাল ছেড়ে দেবার দল নই।
টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয় এবং শুরুটা বেশ ভালই করে। সাই হোপ যে কিছুতেই সেঞ্চুরি ছাড়ার পাত্র নন। আয়ারল্যান্ডের সাথে অসাধারণ সেঞ্চুরির পর বাংলাদেশেকেও ছাড় দিলেন না । তাই ১০৯ করেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন। সাথে সঙ্গি ছিলেন সুনিল অ্যামব্রিস ও পরে রোস্টন। এরপর বাংলাদেশের বোলারদের আক্রমনে খুব বেশীদুর আর এগুতে পারেনি উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। মুস্তাফিজ একটু খরুচে হলেও মাশরাফি, সাইফুদ্দিন, সাবিক আর মিরাজের ক্ষুরধার বোলিং এর কারনে ২৬১ পর্যন্ত পৌঁছুতে সক্ষম হয় উইন্ডিজের রানের তরী। এতে তাদের বিসর্জন দিতে হয় ৯ উইকেট।
![]() |
মাশরাফি বিন মুর্তজা |
বাংলাদেশের টার্গেট ২৬২, অংকটা এতটা সহজ ছিল না। কিন্তু এই গণিতের হিসেবটা তামিম আর সৌম্যর ভালই জানা ছিল। কিছুদিন আগের সেই দ্বিশতক আর এর পরে আরও এক শতকের জোড়ে ডাবলিনের এই ম্যাচে প্রায় শতকেরই কাছেই চলে এসেছিলেন সৌম্য। কিন্তু আজ শতক না পেলেও ৬৮ বলে ৭৩ রানের ঝলমলে ইনিংসটি ম্যাচ জেতাতে অনেক সাহায্য করেছে। অপর প্রান্তে ধীর স্থির তামিম সৌম্যকে ভাল সঙ্গ দিয়ে ১১৬ বলে ৮০ রানের স্টার মার্কটা নিজের গণিতের নম্বরপত্রে বসিয়ে নেন। বাকিটা ছিল শুধু সৌজন্যতা। এই সৌজন্যতার জন্য তো সাবিক আর মুশফিকই যথেষ্ট। মুশফিক ২৫ বলে ৩২ আর সাকিব ৬১ বলে ৬১ করে বেশ হেসে খেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
পরবর্তি খেলা বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড ৯ মে তে অনুষ্ঠিত হবে।
একনজরে:
স্কোর
|
||
রান
|
ওভার
|
|
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
|
২৬১/৯
|
৫০
|
বাংলাদেশ
|
২৬৪/২
|
৪৫
|
ফলাফল
|
বাংলাদেশ
৮ উইকেটে জয়ী
|
|
ম্যান অ্যাফ দ্যা ম্যাচ
|
সাই হোপ
|
Post Comment
কোন মন্তব্য নেই